মিতা ও রীতার মধ্যে যুক্তিবাক্য ও যুক্তিবাক্যের শ্রেণিবিভাগ নিয়ে কথা হচ্ছিল। মিতা বলল আমরা দেখেছি কোনো বিষয়ের শ্রেণিকরণে একটি নীতি বা মানদণ্ডের ভিত্তিতে করা হয়, কিন্তু একই বিষয় যে বিভিন্ন নীতি ও মানদণ্ডের ভিত্তিতে করা হয় তা যুক্তিবিদ্যা পাঠ করতে এসে দেখতে পেলাম। রীতা বলল তুই ঠিকই বলেছিস, এই সম্বন্ধের ভিত্তিতে যুক্তিবাক্যের শ্রেণিবিভাগকেই ধরা যাক না কেন। সম্বন্ধের ভিত্তিতে যুক্তিবাক্যকে নিরপেক্ষ ও সাপেক্ষ দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে এবং সেখানে প্রাকল্পিক বাক্য ও বৈকল্পিক বাক্যকে সাপেক্ষ বাক্য হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রাকল্পিক বাক্যকে সাপেক্ষে বাক্য হিসেবে বোঝা গেলেও বৈকল্পিক বাক্য কিভাবে সাপেক্ষ বাক্য হয় তা বোধগম্য নয়।
হ্যাঁ, সম্বন্দ্বের ভিত্তিতে শ্রেণিবিন্যাসকৃত রীতার উল্লিখিত যুক্তিবাক্যটির তাৎপর্য রয়েছে। বস্তুত যে যুক্তিবাক্যে কোনো রকম শর্তের উপর নির্ভর না করে কোনো বক্তব্য স্বীকার বা অস্বীকার করা হয় তাকে 'নিরপেক্ষ যুক্তিবাক্য' বলে। যেমন: সব কাক হয় কালো। অপরদিকে যে যুক্তিবাক্যে কোনো বক্তব্যের স্বীকৃতি বা অস্বীকৃতি কোনো শর্তের উপর নির্ভরশীল তাকে 'সাপেক্ষ যুক্তিবাক্য' বলে। যেমন- যদি তুমি আস তাহলে আমি আসব। এখানে তার আমার উপর আমার আসা নির্ভর করে। এই সাপেক্ষ যুক্তিবাক্যকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথা- প্রাকল্পিক যুক্তিবাক্য ও বৈকল্পিক যুক্তিবাক্য। উদ্দীপকে প্রাকল্পিক বাক্যকে 'সাপেক্ষ' বলা যায়। কারণ দুটি বাক্যেই শর্ত আরোপ করা হয়। কিন্তু বৈকল্পিক বাক্য সাপেক্ষ বাক্য হতে পারে না। কারণ সাপেক্ষ বাক্যে শর্ত থাকে আর বৈকল্পিক বাক্যে দুই বা ততোধিক বিরুদ্ধ সম্ভাবনার উল্লেখ থাকে। তাই আমি মনে করি, রীতার উল্লিখিত যুক্তিবাক্যটির যথেষ্ট তাৎপর্য রয়েছে।
আপনি আমাকে যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন, যেমনঃ
Are you sure to start over?